“মাছের কাঁটা”
মাছের কাঁটা বিধলো এবার
দাদুভাইয়ের গলায়
ভীষণ খুঁচা খেয়ে দাদুর
পরাণ যায় যায়।
ইলিশ মাছের ভাজা পেয়ে
জিবে জল পড়ে
তাই দাদুভাই মুখে দিলেন
ঝাপটা মেড়ে ধরে।
বিপদ এবার হলো বেজায়
কাঁটা কে-যে খুলে
গলার ব্যথায় মাথা নষ্ট
একটুখানি ভুলে।
দাদী এসে হেসে বলেন
এই জমেছে খেলা
চেঁচাও তুমি যতো পারো
ফাটিয়ে দাও গলা।
কতো বলি হুঁশ করে
খাওয়া দাওয়া করো
আমার কথা কানে উঠেনা
এবার বুঝতে পারো?।
ব্যথায় দাদু কুঁকড়ে বলেন
গিন্নী, আমায় বাঁচাও
তাড়াতাড়ি ছেলেকে তুমি
বদ্যি আনতে পাঠাও।
ব্যথায় আমার প্রাণটা গেলো
তুমি রসে হাসো!!
এবার বুঝলাম আমায় তুমি
কত্তো ভালবাসো!।
আবার দাদী হেসে বলেন
আছেকী তা মনে?
সবজি কাটতে আঙুল কাটি
হেসেছিলে কেমনে!।
এখন বুঝো ব্যথার ঠ্যালা
কেমনে কাটে সময়
অন্য লোকে ব্যথা পেলে
কেমন মনে হয়?।
আমি তোমায় ভালবাসি
নতুন কিছু নয়
বুড়ো বয়সে গেলোনা তবু
ভালবাসার ভয়!।
দাদুর ছেলে নরেন এবার
বদ্যি নিয়ে এলো
বদ্যিমশাই অনেক চেষ্টায়
কাঁটা খুলে দিলো।
Posted on অক্টোবর 5, 2013, in ছড়া. Bookmark the permalink. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান.
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান
Comments 0