Daily Archives: অক্টোবর 5, 2013

“নাতিবৌ”


মহা চিন্তায় মাথা নষ্ট

ভাবছেন বসে দাদু

পাত্রী খুঁজতে যাবেন এবার

বর নাতি যাদু।

Read the rest of this entry

“শ্বশুরবাড়ি মধুরহাঁড়ি (পর্ব-৩৬)”


গত পর্বের শেষাংশঃ 

ডাক্তার চেম্বারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইলেন। এবং যাইবার কালে জামাল হোসেনকে একটা ফোন দিয়া গেলেন যে, আজ সন্ধ্যের পরে যেন জামাল হোসেন তাহার সঙ্গে দেখা করে।

ডাক্তার চেম্বারে গিয়া বসিয়াছেন। মন বেশ ভাল নহে। চিন্তা ভর করিয়াছে তাহার মস্তকে।  খান সাহেব বিপদে পড়িয়াছেন, এই সময়ে তাহার উপকার করিতে না পারিলে ডাক্তারের নিজেকে অপরাধী মনে হইবে। কেননা তিনিই রহিমার স্বামী গেদু ও শরম আলীকে ধরাইয়া দিয়াছেন। যদিও তাহা খান সাহেবের উপকারে আসিয়াছে, কিন্তু, রহিমা একদিন হয়তো ভাবিবে কী প্রয়োজন ছিলো আমাকে স্বামী হারা করিবার। ধীরেধীরে স্বামী শুধরাইয়া যাইত। আমার ভালবাসায় সে নিজেকে বদলাইয়া ফেলিতো। এই দু’মুখো ভাবনা ডাক্তারের অন্তরে উদিত হইয়াছে। ঠিক এই সময় জামাল হোসেন আসিয়া উপস্থিত। ডাক্তারের চেহারায় বিষণ্ণতার ছাপ দেখিয়া জামাল হোসেন বলিলো-

Read the rest of this entry

“আন্দোলন”


বছর আগে দাদুভাই আমায়

একটা, কথা দিয়েছিলেন

বয়স কুড়ি হলে পড়ে

বউ এনে দেবেন।

Read the rest of this entry

“মাছের কাঁটা”


মাছের কাঁটা বিধলো এবার

দাদুভাইয়ের গলায়

ভীষণ খুঁচা খেয়ে দাদুর

পরাণ যায় যায়।

Read the rest of this entry

“রসের দাদু”


রসিক দাদু পান খেয়েছেন

ঠোট করেছেন লাল

জর্দা খয়ের লাগিয়ে তিনি

ফুলিয়ে তুলেন গাল।

Read the rest of this entry

“শ্বশুরবাড়ি মধুরহাঁড়ি (পর্ব-৩৫)”


গত পর্বের শেষাংশঃ 

এইদিকে খান সাহেব ডাক্তারকে বলিয়াছেন, বিবাহের প্রস্তাবটা যেন ডাক্তারই দেন। কেননা, খান সাহেব অতীতে তাহার বচন রাখিতে ব্যর্থ হইয়াছেন। সেই লজ্জায় আর নিজে প্রস্তাব দিতে চাইতেছেননা। ডাক্তার খান সাহেবের অনুরুধ সাদরে গ্রহণ করিলেন।

মাস্টার আসিয়া ডাক্তারের কাছে বসিলেন। খান সাহেব তখন কক্ষ হইতে প্রস্থান করিয়া রহিমার কাছে চলিয়া গেলেন। ডাক্তার ও মাস্টার নীরব বসিয়া রহিয়াছেন। থমথমে পরিবেশ। নীরবতা ভাঙ্গিয়া ডাক্তার বলিলেন-

Read the rest of this entry

“শ্বশুরবাড়ি মধুরহাঁড়ি (পর্ব-৩৪)”


গত পর্বের শেষাংশঃ 

খান সাহেব গৃহে আসিয়া বিভিন্ন এলাকায় পরিচিতজনের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করিয়া নিশ্চিত হইলেন যে, মাস্টার তাহার এক নিকট-আত্মীয়ের বাড়িতে বসবাস করিতেছে। এবং খান সাহেব জরুরী ভিত্তিতে তাহাকে এইখানে পাঠাইবার জন্য স্বজনদের অনুরুধ করিলেন।   

দু’দিন চলিয়া গিয়াছে। কামাল উদ্দিনের মন খুব খারাপ। ইতিমধ্যে কামাল উদ্দিন শহরে চলিয়া যাইবার চিন্তাভাবনা শুরু করিয়াছে। রহিমাকে সে মন দিয়া ভালবাসিয়াছিলো, আবার তাহার চোখের সামনে রহিমার বিবাহ হইবে মাস্টারের সাথে, তাহা কামাল উদ্দিন কোনভাবেই মানিয়া নিতে পারিবেনা। তাই ভীষণ মনোকষ্ট হইতে বাঁচিবার জন্য, নিজেকে দূরে সরাইবার চিন্তা। তাই কামাল উদ্দিন মা-কে  জানাইলো, সে আর গ্রামে থাকিবেনা। শহরে যে’করেই হউক একটা চাকুরীর ব্যবস্থা করিয়া লইবে।

Read the rest of this entry

“দাদু যাবেন শ্বশুরবাড়ি”


আয়নায় মুখ দেখছেন দাদু

চেহারাটা কেমন

বয়স হলো ষাটের উপর

যুবক রইলো মন।

Read the rest of this entry

“শ্বশুরবাড়ি মধুরহাঁড়ি (পর্ব-৩৩)”


গত পর্বের শেষাংশঃ  

কিন্তু রহিমার মনে মাস্টারের সাথে কাটানো কয়েকটা দিবসের স্মৃতি জাগিয়া উঠিতেছে বারংবার। রহিমার ভাষায়, মাস্টার খুব ভালো লোক ছিলেন। সৎ এবং চরিত্রবান। রহিমা কয়েকবার পিতা খান সাহেবকেও বলিয়াছে, মাস্টারের খোঁজ করিতে।

ঐদিকে কামাল উদ্দিন রহিমার প্রতি’যে দুর্বল হইয়া গিয়াছে, তাহা রহিমা বা খান সাহেব  কেহই জানেননা। কামাল উদ্দিন স্বপ্ন দেখিয়াছেন, তাহা তার নিজের অন্তরই শুধু জানে।

Read the rest of this entry

“দাদুর ঘুম”


দাদুভাইয়ের ঘুম লেগেছে

নাক ডাকছে গরগর

মশা-মাছি কামড় দেয়

নাই দাদুর খবর।

Read the rest of this entry